পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পরস্ত্রীকে

 (১)  জানলাটা আজ মেঘ থইথই, একটা শালিখ মন দিয়ে খুব তাকাচ্ছিল কাচের দিকে কাচও তেমন, এক-দু ফোঁটা জল ছুঁলো যেই চিঠির বয়ান বদলে দিল – পরস্ত্রীকে “সীমন্তিনী, সম্ভাষণে আর কী লিখি সকাল সকাল রোদ্দুর দাও চায়ের কাপে কড়া লিকার, ফর্সা আকাশ মিশিয়ে তাতে মেঘলা এবার বাতিল করো, মনখারাপে মুখ ধুইনি, কলের জলের দাঁত উঠেছে কামড়ে দিল এমন জোরে ঘুমের চোখে এখনো লাল, নিন্দুকে কী ভাববে বলো সবাই জানে আমার স্বভাব চরিত্রকে সীমন্তিনী, রোদ্দুর দাও, হালকা চুমুক চায়ের কাপেই ঠোঁট ছোঁয়াব, দিব্যি গেলে মেঘ যদিও কুমন্ত্রণা দিচ্ছে, তা দিক শুনব সে সব, আমি কি আর তেমনি ছেলে” লম্বা চিঠি, কী যেন হয় এক শালিখে? জানলা জুড়ে কাটছে কি মেঘ? একটু ফিকে? (২) “শীতের মধ্যে পড়ল হঠাৎ এমন গরম, চোত-বোশেখে যেমনটা হয়, গেঞ্জী সোঁদা, ঘাম চাটছে জামার কলার। রোদ্দুর দাও বলব না আর, সত্যি বলছি, ঘাট হয়েছে আর তাছাড়া আমার কাছে অনেক কথা – তোমায় বলার। তেইশ থেকে ছাব্বিশ তো লম্বা ছুটি। কোথাও যাবে? ছুটির কথায় পড়ল মনে, তোমার বিয়ে, ফাল্গুনে কী? শহর ছেড়ে পালিয়েছিলাম, মুখ লুকিয়ে, শীত ছিল খুব। মাস মনে নেই। খুঁজলে পাব যদিও জানি, ডাইরি দেখি। শহর ছেড়ে পালিয়েছিলাম। শহর ছাড়